১০ জুলাই ২০২১-এ রামরু আয়োজিত ‘অভিবাসীর আদালত’-এর ৬৪-তম পর্বটি সহায়তা করল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব ইমরান আহমদ, এমপি-কে টিকাদান সেবা বাড়াতে একটি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে। এ পর্বটি ছিল কোভিডকালে অভিবাসী-কর্মীদের বিদেশ গমনের পূর্বে টিকাগ্রহণ সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে। সেখানে টিকাগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে অভিবাসীদের নানা অভিজ্ঞতা উঠে আসে। বিশেষজ্ঞ অতিথিরা উদ্ভূত সংকট নিরসনে বেশ কিছু মতামত প্রদান করেন। উক্ত পর্বটি মাননীয় মন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। অবস্থার উত্তরণে মাননীয় মন্ত্রী দেশের সকল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) এবং ০৬ টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনলজি (আইএমটি)-তে অভিবাসী-কর্মীদের জন্য হেল্প ডেস্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। এই হেল্প ডেস্ক থেকে বিদেশ প্রত্যাগত, বিদেশে গমনেচ্ছু এবং বিদেশগামী সকল কর্মীদের তথ্যসেবা প্রদান করা হবে। এই মুহুর্তে তাদের মূল সেবার ক্ষেত্র হবে টিকাদান নিবন্ধনে সহায়তা।
এমনি করেই ‘অভিবাসীর আদালত’ অনুষ্ঠানটি অভিবাসীদের সেবা পাওয়ার সুযোগগুলো বৃদ্ধি করায় ভূমিকা রেখে চলেছে। অভিবাসী-কর্মীদের নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে, তাদের দুঃখ-দূর্ভোগ এবং নানাবিধ সংকটের কথা তুলে ধরতে ডিবিসি নিউজে প্রতিমাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার ‘অভিবাসীর আদালত’ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে আসছে রেফিউজি এন্ড মাইগ্রেটরী মুভমেন্টস্ রিসার্চ ইউনিট (রামরু)।
অসাধারণ একটি পদক্ষেপ। করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে এই টিকাদান কর্মসূচি বৃদ্ধি করাটা একটি সময়ের দাবি দাবী ছিল। তবে বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন যেন এই টিকাদান নিবন্ধনকে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করে দেয়া হয়।